push notification

Sunday, April 21, 2019

ভিপিএন কী? এটা কী কাজে লাগে?

ভিপিএন এর পূর্ণরূপ হলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। এটি ইন্টারনেটে আপনার ও অন্য একটি নেটওয়ার্কের মাঝে সিকিউর কানেকশন তৈরী করে দেয়। অধিকাংশ মানুষ মূলত অঞ্চলভিত্তিক ব্লক করা সাইটগুলোতে প্রবেশ করতে, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার্থে এবং সেনসিটিভ কন্টেন্ট ব্রাউজ করার সময় নিজেকে ট্রেস করা থেকে বাঁচাতেই ভিপিএন ব্যবহার করে।
আজকাল ভিপিএন এর ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু অনেকেই আজ যে কারণে ভিপিএন ব্যবহার করে সেই কারণে ভিপিএন এর জন্ম হয়নি। ভিপিএন তৈরী করা হয়েছিল ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রাইভেট নেটওয়ার্কগুলোকে নিরাপদে সংযুক্ত করার জন্য
ভিপিএন আপনার নেটওয়ার্ক ট্রাফিককে অন্য কোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফরোয়ার্ড করে দেয়। প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমেই বিল্ট ইন VPN সাপোর্ট আছে।

কীভাবে ভিপিএন আপনাকে সাহায্য করতে পারে?

আপনি যখন আপনার ডিভাইসটিকে ভিপিএনে কানেক্ট করেন তখন এটা অন্য কোন একটা কম্পিউটারে (সার্ভারে) নিজেকে সংযুক্ত করে এবং ইন্টারনেটের সাথে আপনার যোগাযোগের জন্য একটি গোপন রাস্তা বা সুড়ঙ্গ তৈরি করে। আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এই সুড়ঙ্গের উপস্থিতি বুঝতে পারলেও এর মধ্যে ঢুকতে পারবেনা। ফলে আপনি কোন সাইট ব্রাউজ করছেন কিংবা কী ডেটা পাস করছেন তা আইএসপি জানতে পারবে না। তখন আপনার দেশে বা আইএসপিতে যদি কোন সাইট ব্লক করা থাকে সেই সাইটটিও আপনি ভিপিএন ব্যবহার করে ব্রাউজ করতে পারেন। আর এই সব ডেটা ভিপিএন ব্যবহারের সময় এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়।

কী কী কাজে ভিপিএন ব্যবহার করা হয়?

জিও রেস্ট্রিক্টেড কন্টেন্ট ব্রাউজ

ভিডিও ও অডিও স্ট্রিমিং সাইটগুলোতে নির্দিষ্ট দেশের জন্য স্পেসিফিক কন্টেন্টগুলো যে কোন দেশ থেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) এর মাধ্যমে ব্রাউজ করতে পারবেন। যেমন ধরুন স্পটিফাই সাইট থেকে বাংলাদেশে বসে আপনি গান শুনতে পারবেন না। কিন্তু চাইলেই ইউএস বা অন্য কোন দেশ যেখানে স্পটিফাই এর সার্ভিস আছে সেসব দেশের আইপিযুক্ত সার্ভারে ভিপিএন দিয়ে কানেক্ট করে আপনিও স্পটিফাই সার্ভিস বাংলাদেশে বসেই ব্যবহার করতে পারবেন।

নিজের তথ্য নিরাপদ রাখতে

আপনি যদি পাবলিক প্লেসে ফ্রি ওয়াই-ফাই হটস্পট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্রাউজিং ডেটা সেইম নেটওয়ার্কে থাকা অন্যান্য মানুষ ট্রেস করতে পারে যদি সে এই বিষয়ে এক্সপার্ট হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে বাঁচাবে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN)। আপনি ভিপিএন দিয়ে কানেক্ট করলে আপনার ওয়াইফাই সংযোগে কেউ আড়ি পাতলে কিংবা এমনকি আপনার আইএসপি নিজেও শুধু একটা প্রাইভেট নেটওয়ার্কই দেখবে। এর ভিতরে যে সব ডেটা পাস হচ্ছে সেসবের নাগাল পাবে না।

নিজের প্রকৃত লোকেশন গোপন করতে

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে আপনি যদি আপনার প্রকৃত লোকেশন গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তাহলে ভিপিএন আপনাকে সেই সুবিধা দিবে। এছাড়া আপনি হয়তো জানেন যে চীনে সরকারীভাবে অনেক সাইটই বন্ধ করে রাখা আছে (এমনকি ফেসবুকও)। চায়নিজরা ভিপিএন ব্যবহার করেই প্রয়োজন পড়লে সেসব সাইট ব্রাউজ করে পুরো ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকে।

টরেন্ট ব্যবহারের সময় আপনার গোপনীয়তা রক্ষার্থে

টরেন্ট থেকে ফাইল নামানোর ক্ষেত্রে ট্রেসিং এড়াতে VPN ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি আপনি যদি লিগ্যাল টরেন্ট ও ডাউনলোড করেন তাহলেও আপনার আইএসপি বেশি ট্রাফিকের ভয়ে আপনার কানেকশন স্লো করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ভিপিএন দিয়েই আপনি ট্রেস থেকে বাঁচতে পারেন।
. . . এবং এর আরও অনেক প্রয়োগ থাকতে পারে।

ভিপিএন কি নিরাপদ?

ভার্চুয়াল জগতে নিরাপত্তার ব্যাপারটি দুর্বোধ্য। কোনো কিছুই পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কিন্তু বাজারের জনপ্রিয় VPN সেবাদাতাগুলোর প্রতি অনেকেই আস্থা রাখছেন। আবার নিজের তৈরি ভিপিএন নেটওয়ার্ক হলে তাও মন্দ হয় না- যদিও অনেক ক্ষেত্রে তা “খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি” বলে মনে হতে পারে। অসাধু বা কম্প্রোমাইজড VPN নেটওয়ার্ক থেকে আপনার ডেটা বেহাত হওয়ার ঝুঁকি যে একদম নেই তা না। অনেক কোম্পানি ফ্রি আনলিমিটেড VPN দেয়ার কথা বলে, যা বুঝেশুনে না এগোলে ফাঁদ হিসেবে দেখা দিতে পারে। সুতরাং একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে।

কীভাবে ভিপিএন ব্যবহার করবেন?

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি আপনার আনলাইন জীবন নিয়ে খুব বেশি সতর্ক হলে আপনি নিজেই একটি VPN সার্ভার তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অধিকাংশ মানুষই ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন থার্ড পার্টি সার্ভিস ব্যবহার করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো রেটিং ওয়ালা সার্ভিসগুলো আপনি নিশ্চিন্তেই ব্যবহার করতে পারেন। অধিকাংশ প্রোভাইডারেরই ফ্রি এবং পেইড, দুই ধরনের VPN প্ল্যান আছে। মাঝে মাঝে VPN ব্যবহার করলে ফ্রি প্ল্যানই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। আর যদি অফিসের বা ব্যবসায়িক কাজে রেগুলার ব্যবহার করতে হয় তাহলে ভালো একটা পেইড প্ল্যান নিতে পারেন। পেইড প্ল্যানে সাধারণত বিজ্ঞাপন থাকে না এবং সার্ভারের সংখ্যা বেশি ও স্পিড বেশি থাকে। এছাড়া আরো কিছু সুবিধা পেইড প্ল্যানে পাওয়া যায়।
প্রায় সব ভিপিএন প্রোভাইডারেরই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য ডেস্কটপ, এন্ড্রয়েড, আইওএস অ্যাপ ও ব্রাউজার এক্সটেনশন রয়েছে। এগুলো সাধারণত ক্রস প্লাটফর্ম সার্ভিস। এগুলো ব্যবহার করাও খুবই সহজ। শুধুমাত্র তাদের সাইট এ গিয়ে সাইনআপ করলেই হয়ে গেলো।
কয়েকটি জনপ্রিয় ভিপিএন প্রোভাইডার হলো স্যামসাং ম্যাক্স (ফ্রি)এক্সপ্রেস ভিপিএন, টানেলবিয়ার, হটস্পটশিল্ড ইত্যাদি। গুগলে কিংবা আপনার ডিভাইসের অ্যাপ স্টোরে VPN লিখে সার্চ করলেই অনেকগুলো সার্ভিসের লিস্ট পেয়ে যাবেন, যেখান থেকে ব্যবহারকারী সংখ্যা, রিভিউ ও রেটিং দেখে এগুলোর নির্ভরযোগ্যতা আঁচ করতে পারবেন। এছাড়া অপেরা ডেস্কটপ ব্রাউজারেও ফ্রি আনলিমিটেড ভিপিএন পাবেন।
আপনি কি কখনো VPN ব্যবহার করেছেন? আপনার মতে কোন কোম্পানির VPN সেবা সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদ?

জিমেইল অফলাইন – ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করুন জিমেইলের বিভিন্ন সুবিধা!



গত বছর গুগল তাদের জিমেইলের ওয়েব ভার্সনে নতুন ফিচার আপডেট ও টুইকস এর পাশাপাশি এতে ব্র্যান্ড নিউ অফলাইন মোড ফিচার চালু করেছে। এই জিমেইল অফলাইন ফিচার ব্যবহার করে আপনি চাইলে ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই আপনার পিসি ব্রাউজারে জিমেইলের বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
জিমেইলের এই অফলাইন মোড শুধুমাত্র কম্পিউটারে গুগল ক্রোম ব্রাউজারেই কাজ করবে। তাই অন্য কোনো ব্রাউজার ব্যবহারকারী হলে এই অফলাইন ফিচার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমেই গুগল ক্রোম ইন্সটল করে নিতে হবে।
তো, জিমেইলে লগইন করে উপরের দিকে ডানপাশে গিয়ার আইকনটিতে ক্লিক করুন। মেন্যু থেকে সেটিংস পেইজে প্রবেশ করুন। এখন সেটিংস পেইজটির হেডার অংশের একদম ডানদিকে থাকা অফলাইন ট্যাবে যান। অথবা পিসিতে (ক্রোমে) জিমেইলে লগইন করে সরাসরি এই লিংক ভিজিট করুনঃ https://mail.google.com/mail/u/0/#settings/offline
সেখান থেকে আপনি অফলাইন মোডকে কাস্টমাইজ করে নিচে সেইভ চেঞ্জেস বাটন চাপলেই অফলাইন মোড অন হয়ে যাবে।
অফলাইন মোড কাস্টমাইজেশনের ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন আপশন পাবেন। যেমনঃ সর্বশেষ কতদিন পর্যন্ত আপনার ইনবক্স সিঙ্ক করা হবে তা নির্ধারন করে দিতে পারবেন। পাশাপাশি মেসেজগুলো কি এটাচমেন্ট সহ নাকি এটাচমেন্ট ছাড়া ডাউনলোড হবে সেটাও আপনি বাছাই করে দিতে পারেন।


যেহেতু এক্ষেত্রে আপনার পিসির হার্ড্ড্রাইভে মেসেজ ও এটাচমেন্টগুলো ডাউনলোড হবে তাই আপনি স্টোরেজ বাঁচাতে চাইলে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের ইমেইল স্টোর করাই যুক্তিযুক্ত হবে।
এখানে আপনি সিকিউরিটি রিলেটেড একটা অপশনও পাবেন। আপনি যদি আপনার একাউন্ট থেকে লগআউট করেন তাহলে এটি কি আপনার পিসিতে ডাউনলোড করা ডেটা মুছে ফেলবে নাকি রেখে দিবে সেটা নির্ধারন করার ক্ষমতাও আপনার হাতেই থাকছে।
অফলাইন সেটআপ হয়ে গেলে ইন্টারনেট ছাড়া জিমেইল ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারের গুগল ক্রোম ব্রাউজারে mail.google.com লিংক ভিজিট করুন। এই লিংকটি বুকমার্ক করে রাখলে ভালো হয়।
অফলাইন অবস্থায় আপনি নতুন ইমেইল রিসিভ করতে পারবেন না। তবে সেন্ড করতে চাইলে ইমেইল লিখে সেন্ড অপশন বাছাই করলে সেটি আউটবক্সে জমা হবে, এবং নেট সংযোগ পেলে তখন মেইলটি ডেলিভারি হবে।
জিমেইল অফলাইন ফিচার বন্ধ করতে চাইলে প্রথমেই আপনি আপনার জিমেইল সেটিংস (https://mail.google.com/#settings/offline) থেকে এটি বন্ধ (আনচেক) করুন। এরপর ক্রোম ব্রাউজারের সেটিংস থেকে “অল কুকিজ অ্যান্ড সাইট ডেটা” রিমুভ করে দিন।
সব মিলিয়ে জিমেইলের এই অফলাইন ফিচার খুব কাজে দিবে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা ব্যবসায়িক বা অফিশিয়াল কাজে লম্বা ভ্রমণ করেন তারা চাইলে চলতি পথে প্রয়োজনীয় ইমেইল লেখা ও ইনবক্স চেক করার বিষয়টা ইন্টারনেট ছাড়াই মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।
আর হ্যাঁ, মোবাইলে জিমেইল অ্যাপে সেটিংস থেকে ইমেইল সিঙ্ক্রোনাইজ চালু করে রাখলে সেগুলোও ইন্টারনেট ছাড়া এক্সেস করতে পারবেন।
আপনি কি জিমেইল অফলাইন মোড ব্যবহার করেছেন?

আপওয়ার্কে নতুন নিয়মঃ জব অ্যাপ্লাই করার জন্যও টাকা লাগবে

আপওয়ার্কে জব অ্যাপ্লাই করার জন্য প্রতিবার নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট দরকার হয়, যেগুলোকে “কানেক্টস” বা “কানেক্ট” বলা হয়। এতদিন নির্দিষ্ট কিছু কানেক্ট আপওয়ার্ক বিনামূল্যেই সকল ফ্রিল্যান্সারকে দিত, ফলে এক্টিভ প্রোফাইল থাকলে সবাই-ই আপওয়ার্কে জব এপ্লাই করতে পারতেন। কিন্তু আজ কিছুক্ষণ আগে আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সারদেরকে একটি ইমেইল পাঠিয়ে জানিয়েছে যে, এই কানেক্টগুলো ভবিষ্যতে আর বিনামূল্যে পাওয়া যাবেনা। ফলে আপওয়ার্কে জব এপ্লাই করতে হলেও টাকা খরচ করতে হবে ফ্রিল্যান্সারদের। মে-জুন মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
জব পোস্টের ওপর ভিত্তি করে সেগুলোতে এপ্লাই করার জন্য প্রয়োজনীয় কানেক্ট এর পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন হয়। এক্ষেত্রে বর্তমানে আপওয়ার্কে একটি জবে এপ্লাই করার জন্য ১ থেকে ৬ কানেক্টের দরকার পড়ে।
তবে, ক্ল্যায়েন্ট যদি কোনো ফ্রিল্যান্সারকে জবে ইনভাইট করে, তাহলে সেই জবটিতে এপ্লাই করার জন্য কোনো কানেক্ট দরকার হবেনা।
কোনো ক্ল্যায়েন্ট যদি একটি জবে কাউকেই হায়ার না করে, তাহলে ঐ জবে যারা কানেক্ট খরচ করে এপ্লাই করেছিলেন তাদেরকে কানেক্ট ফেরত দেয়া হবে। প্রতিটি কানেক্ট ইস্যু ডেটের এক বছর পর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে।
আপওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, পেশাদার ও মানসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারদের আরও বেশি বেশি কনট্রাক্ট পেতে সহায়তা করার জন্যই তারা নতুন এই নিয়ম চালু করেছে।
নতুন ফ্রিল্যান্সার ও এজেন্সিগুলোর ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনটি এপ্রিলের শেষ অংশ থেকে কার্যকর হওয়া শুরু হবে। বিদ্যমান ফ্রিল্যান্সার ও এজেন্সিগুলোর ক্ষেত্রে ২ মে, ২০১৯ থেকে আস্তে আস্তে পেইড কানেক্টস কার্যকর করা শুরু করবে। ধারণা করা যাচ্ছে, জুনের শেষ দিকে পেইড কানেক্টস সকল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কার্যকর হয়ে যাবে।

কানেক্টস এর খরচ কেমন?

প্রতিটি কানেক্ট এর মূল্য ০.১৫ ডলার করে এবং এগুলো নিম্নলিখিত বান্ডেল অনুযায়ী ক্রয় করা যাবেঃ
  • ১০ টির জন্য ১.৫০ ডলার
  • ২০ টির জন্য ৩ ডলার
  • ৪০ টির জন্য ৬ ডলার
  • ৬০ টির জন্য ৯ ডলার
  • ৮০ টির জন্য ১২ ডলার

একটি জব প্রপোজাল এর জন্য কতগুলো কানেক্ট লাগবে সেটা কীভাবে হিসাব করা হয়?

আপওয়ার্ক মূলত জব এর ভ্যালু অনুযায়ী তাতে অ্যাপ্লাই করতে কতগুলো কানেক্ট লাগবে সেটা হিসাব করে। আর জব এর ভ্যালু নির্ধারণ করার জন্য তারা জবটির জন্য আনুমানিক কত সময় লাগবে, বাজেট এর পরিমাণ এবং এর সাথে মার্কেটপ্লেস ডিমান্ড ও বিবেচনা করা হয়। তার মানে, বড় বাজেটের একটি লম্বা প্রোজেক্ট এর জন্য ছোট প্রজেক্ট এর চেয়ে বেশি কানেক্ট লাগবে।
আরও বিস্তারিত এখানে দেখুন।
আপনার কাছে আপওয়ার্কের নতুন এই নিয়ম কেমন লাগল?

শাওমি রেডমি নোট ৭ প্রো রিভিউ

নোট ৭ প্রো কেনার এক সপ্তাহ পর আজ শেয়ার করব আমার এ ক’দিনের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। সঙ্গে বোনাস হিসেবে থাকছে নিজের হাতে তোলা চমৎকার এই ডিভাইটির কিছু ফটো।

পারফরমেন্স

প্রথমেই আসি পারফরমেন্স সেক্টরে। আমার ইউনিটটা ৬/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট। ৬ জিবি র‍্যাম থাকায় মাল্টিটাস্কিং এবং ভারী এপস চালানোর সময় প্রত্যাশা অনুযায়ী ভাল পারফরমেন্স পেয়েছি। এক কথায় বাটার স্মুথ পারফরমেন্স। তবে চাইনিজ রম ব্লটওয়ারে ভরপুর, তা নাহলে ওভারঅল পারফরমেন্স আরো বেটার হত বলেই আমার ধারনা। প্রসেসর ১১ ন্যানোমিটারের স্ন্যাপড্রাগন ৬৭৫, তাই সবকিছুই ছিল ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস!

ক্যামেরা

রেয়ার ক্যামেরা বাজেট বিবেচনায় আউটস্ট্যান্ডিং। এই ফোনের সবচেয়ে সেরা দিক সম্ভবত এটাই। আর কোন কিছু যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে নাও পারে অন্তত ক্যামেরা ডিপার্টমেন্ট আপনার পয়সা উসুল করে দেবে। ডিফল্ট ক্যামেরার নাইট মুড কিংবা প্রো মুডের ম্যানুয়াল ফাংশন ব্যবহার করে চমৎকার সব ছবি তোলা যায়। তার উপরে রয়েছে বিল্ট ইন গুগল ক্যামেরা সাপোর্ট।
ডিফল্ট ক্যামেরাতেই যদি দারুন সব ছবি তুলতে পারেন তাহলে গুগল ক্যামেরা ব্যবহার করলে কি হতে পারে আন্দাজ করে নিন। সেলফি ক্যামেরা নিয়ে নেগেটিভ অনেক কিছু শুনেছি, তবে আমার কাছে খারাপ লাগেনি। এমনিতে আমি সেলফি টেলফি তুলি না, তাই খুব একটা এক্সপেরিমেন্ট করা হয়নি। যেটুকু দেখলাম তাতে আমি সন্তুষ্ট।

ডিসপ্লে

প্রথমেই বলে নিই, আইপিএস ডিসপ্লে আমার একদমই পছন্দ না। সেই ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘদিন স্যামসাংয়ের সুপার এমোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করেছি, এরপর থেকে কোন আইপিএস ডিসপ্লেই আমার মন ভরাতে পারেরি, এমনকি আইফোন ৭ পর্যন্ত না। আইপিএস যত ভালই হোক এমোলেডের সাথে কমপেয়ার করলে সাদামাটাই লাগবে।
এই যখন অবস্থা তখন নোট ৭ প্রো এর আইপিএস ডিসপ্লে নিয়ে আমি খুব বেশি কিছু আশা করিনি। তবে এমোলেডের বিষয়টা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারলে নোট ৭ প্রো এর ডিসপ্লে নিয়ে আপনি অসন্তুষ্ট হবেন না। আইপিএস হিসেবে বেশ ভালই বলতে হবে।

ডিউরেবিলিটি

যেহেতু দুই দিকেই গ্লাস, তাই খুব সাবধানে এটা ব্যবহার করতে হবে। এমনিতে ডিউরেবিলিটি ভালই মনে হল। হাত থেকে পড়লে কখনো টিকে যাবে আবার কখনো ভেঙেও যেতে পারে, পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করছে কোন এঙ্গেল আর কত উচ্চতা থেকে এবং কিসের উপর পড়ল সেটার উপর। এইসব জিনিসের উপর যেহেতু আপনার হাত নেই তাই সাবধানে ব্যবহার করার কোন বিকল্প নেই। যদি সেটা না পারেন তবে এক্সট্রা একটা ব্যাক কভার মাস্ট!

ব্যাটারি

এখনো সেভাবে হেভি ইউজ শুরু করিনি। এভারেজ ব্যবহারে ২-৩ দিন চলে যাচ্ছে আরামসে। SOT ৮-৯ ঘন্টার মত পাওয়া যায়। এককথায় 4000mah হিসেবে যতটুকু SOT এক্সপেক্ট করেছিলাম ঠিক ততটুকুই পেয়েছি- বেশিও না আবার কমও না। তবে চায়না ভার্সন কেনায় বক্সেই পেয়েছি ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। মূলত এটার জন্যই চাইনিজ ভ্যারিয়েন্ট কিনেছি। কাজে দিচ্ছে জিনিসটা। দেড় ঘন্টার চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে ফুল চার্জ হতে।

সফটওয়্যার

চাইনিজ রম চায়নার বাইরে তেমন একটা ব্যবহার উপযোগী নয় এটা জেনেই আমি চাইনিজটা কিনেছি। কারন এটাকে আনলক করে কাস্টম MIUI ফ্লাশ দেব। এখন পর্যন্ত বুটলোডার আনলকের পারমিশন পাইনি, তাই আপাতত চাইনিজ রম ব্যবহার করতে হচ্ছে। আর সেটা তেমন ভাল কোন অভিজ্ঞতা নয়। যদিও চায়না রমে বাগ কম থাকে, কিন্তু তবু অনেক কিছুই মিসিং চায়না রমে।


বিভিন্ন এপসের ভাষা চায়নিজ, জিপিএস প্রবলেম, প্রচুর পরিমানে আজাইরা ব্লটওয়ার, গুগলের দরকারী এপস মিসিং- এসব সমস্যার সমাধান একটাই- গ্লোবাল অথবা কাস্টম MIUI ফ্লাশ দেয়া। আমি ফ্লাশ দেব miui eu, এটা গ্লোবালের চেয়েও বেশি গ্লোবাল এবং পারফেক্ট একটা রম।

যারা রম চেঞ্জ করতে জানেন না অথবা এসব ঝামেলায় যেতে চান না, তারা চাইনিজ ভ্যারিয়েন্টের ফোন না কিনে বরং ইন্ডিয়ানটা কিনলেই ভাল করবেন। আর যারা নিজের মত করে রম ফ্লাশ দিতে পারবেন তাদের জন্য চায়নাটা বেস্ট।

শর্টকাট রিভিউ

  • ডিজাইন: ৯/১০
  • বিল্ড কোয়ালিটি: ৭.৫/১০
  • পারফরমেন্স:৯/১০
  • ডিসপ্লে: ৭.৫/১০
  • মেইন ক্যামেরা: ৯/১০
  • সেলফি ক্যামেরা: ৭.৫/১০
  • সফটওয়্যার: ৮/১০
  • সাউন্ড:৮.৫/১০
  • ব্যাটারি: ৮.৫/১০
  • ওভারঅল রেটিং: ৮.৫/১০
তাহলে ২৫ হাজার টাকার আশেপাশে কোনটা বেস্ট হবে? Note 7 Pro, Poco নাকি A50? এটা নির্ভর করছে ইউজারের ধরনের উপর।
পোকোফোনের তুলনায় অবশ্যই Note 7 Pro এবং A50 দুইটাই গতিতে অনেক পিছিয়ে থাকবে। তবে পার্থক্যটা কেবল গেমিং অথবা বিশাল আকারের এপস লোডিংয়ের বেলায় বুঝা যাবে। এমনিতে সাধারন ব্যবহারে পার্থক্য বুঝা মুশকিল। ডেইলি রুটিন ইউজের জন্য Note 7 Pro এবং A50 দুইটাই মোর দ্যান এনাফ। দুইটা ফোনই মিডরেঞ্জে দারুন কিছু অফার করছে।
A50 মোটেও পিছিয়ে নেই। প্লাস্টিক বডি কোন ব্যাপার না, কভার লাগিয়ে নিলে সবই সমান। আর ডিসপ্লের দিক দিয়ে এটা মিডরেঞ্জের সব ফোনের বস এটা মানতেই হবে। যারা স্মার্টফোন ইউজ করেন মূলত মুভি ও ইউটিউব ভিডিও দেখার জন্য, A50 তাদের জন্য বেস্ট চয়েজ হতে পারে। তবে সবকিছুর কম্বিনেশনে পারফেক্ট প্যাকেজ বলে যদি কিছু থাকে সেটা হল Note 7 Pro। শর্টকাটে বলতে গেলে- পোকোফোন যদি হয় মিড রেঞ্জের সেরা ব্যাটসম্যান, তাহলে Note 7 Pro হল মিড রেঞ্জের বেস্ট অলরাউন্ডার!

ফেসবুকে আসছে বড় ৫ পরিবর্তন

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফেসবুকে অসংখ্য ছোট বড় পরিবর্তন এসেছে। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুককে একটি বহুমুখী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে চান সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। একের পর এক নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ আর হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি কিনে ফেসবুক এখন একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটই নয়, বরং একটি ক্ল্যাসিক টেক জায়ান্ট।
সম্প্রতি মার্ক জাকারবার্গ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক ব্লগ পোস্টে (আসলে ফেসবুক নোটস!) ফেসবুকের কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য দেন। এর মধ্য থেকে ফেসবুকের পরিকল্পনাধীন পাঁচটি বিশাল পরিবর্তন এখানে আপনারদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হলোঃ

১। মেসেজিংই ভবিষ্যত!

তাহলে কি ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো হয়ে যাবে? না, ব্যাপারটা ঠিক সেরকম না। আসলে জাকারবার্গের মতে মেসেজিংয়ে গুরুত্ব দেয়া মানে ইন্ডিভিজ্যুয়াল বা প্রাইভেট ইন্টারেকশনে গুরুত্ব দেয়া। একসময় ফেসবুক মানে টাইমলাইনে কিছু লিখে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা বুঝাতো। কিন্তু আস্তে আস্তে বিভিন্ন গ্রুপ, ফান্ডরেইজার, কেনা-বেচা ইত্যাদি সেবা চালুর ফলে মানুষের ব্যক্তিগত ইন্টারেকশন বাড়ছে। আর এজন্যই ফেসবুক ভবিষ্যতে ওয়ান-টু-ওয়ান যোগাযোগে গুরুত্ব দিবে।

২। টোটাল এনক্রিপশন

হোয়াটসঅ্যাপ এ আমরা অনেক আগেই এনক্রিপশন ফিচার দেখেছি। জাকারবার্গের মতে, হ্যাকার, বিভিন্ন দেশের সরকার, এমনকি ফেসবুক কর্তৃপক্ষও যেন মানুষের ব্যক্তিগত ডেটা অবাধে ব্যবহার করার সুযোগ না পায় সেজন্য এনক্রিপশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্যই অতি শীঘ্রই ফেসবুক তাদের সবধরনের মেসেজিং সেবা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন এর আওতায় আনবে।

৩। অটো-এক্সপায়ারিং পোস্ট

আপনি নিশ্চয়ই কিছু মেসেজিং সার্ভিসে সেল্ফ ডেস্ট্রাক্টিং মেসেজ বা অটো-এক্সপায়ারিং পোস্ট নামের ফিচার দেখেছেন। এই ফিচারের মাধ্যমে কোন পোস্ট বা মেসেজে একটি সময় সেট করে দেয়া যায় যে সময়ের পর সেটি আপনা-আপনি ডিলিট হয়ে যায় অথবা হাইড হয়ে যায়। অপরিচিত বা কম পরিচিত মানুষদের সাথে ইন্টারেকশনের ক্ষেত্রে এটা খুবই কাজের একটি ফিচার।
ইতিমধ্যে মেসেঞ্জারে দুই পাশ থেকেই বার্তা মুছে ফেলার অপশন চালু হয়েছে। জাকারবার্গের ঐ পোস্টের তথ্য থেকে ধারনা করা হচ্ছে, ফেসবুক ভবিষ্যতে সব ধরনের পোস্টের ক্ষেত্রেই অটো-এক্সপায়ারিং ফিচার চালু করবে।
তবে কিছু মানুষ আছেন যারা পুরোনো ছবি কিংবা পোস্ট দেখে নস্টালজিক হতেই বেশি পছন্দ করেন। হয়তো তাদের কথা বিবেচনা করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ছবি অন্যদের কাছ থেকে হাইড হয়ে যাবে, শুধু নিজে দেখতে পারা যাবে এমন সুবিধা আসতে পারে।

৪। মোবাইল অ্যাপ একীভূত করা

আমরা জানি ফেসবুক তো বটেই, পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম এগুলো সবই ফেসবুকের মালিকানাধীন সার্ভিস। কিছু মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ এ স্বাছন্দবোধ করেন আবার কিছু মানুষ মেসেঞ্জারে।
তাই সবার সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনাকে ফোনে একাধিক অ্যাপ ইন্সটল করে রাখতে হচ্ছে। আবার একাধিক অ্যাপের নোটিফিকেশন আলাদাভাবে চেক করাও ঝামেলার। তবে অদূর ভবিষ্যতেই ফেসবুক তাদের অ্যাপগুলো যেন একটি অপরটির কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে।
তার মানে আপনি ফেসবুকে কোন কিছু বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলে হয়তো আগ্রহী ক্রেতা সরাসরি আপনার নম্বর না জেনেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিতে পারবে। আবার, ইন্সটাগ্রামে স্টোরি দিলে হয়তো ফেসবুক বন্ধুরা মেসেঞ্জারেই সেটার রিপ্লাই দিতে পারবে।

৫। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটার গোপনীয়তা

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে ইউজারদের ব্যক্তিগত ডেটার জন্য ফেসবুকের কাছে অসংখ্য আবেদন আসে, সেটা সকলেরই জানা। তবে জাকারবার্গ তার ঐ পোস্টে জানিয়েছেন, মানুষের তথ্যের অধিকারের পক্ষে তারা আরো কাজ করবেন। এমনকি যেসব দেশের সরকার মানুষের ব্যক্তিগত ডেটার সুরক্ষা দেয় না সেসব দেশে তিনি কখনো ফেসবুকের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবেন না।
অবশ্য ফেসবুকের এসব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে। এখনই এসব পরিবর্তন আসবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে অনেক আলোচনা ও চিন্তা ভাবনা করা হবে।
আপনি ফেসবুকের এ পরিবর্তনগুলো নিয়ে কী ভাবছেন? আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাজে আসবে।
আপনি যদি আরও কিছু জেনে থাকেন, কিংবা অন্য কিছু জানতে চান, তাহলে কমেন্টে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

শাওমি ফোনে MIUI এর বিজ্ঞাপন বন্ধ করার উপায়

শাওমি ফোন কিংবা মিইউআই (MIUI)’কে নতুন করে চেনানোর কিছুই নেই। কম দামে দারুণ স্পেসিফিকেশন দিয়ে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে দিন দিন নিজেদের অবস্থানকে শক্ত করে চলছে শাওমি। এই চীনা টেক জায়ান্ট তাদের ফোনগুলোর দাম অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় কমানোর জন্য ভিন্ন ধরনের মার্কেটিং পলিসি নিয়ে কাজ করছে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো শাওমি ফোনের ইউজার ইন্টারফেসে থার্ড পার্টি বিজ্ঞাপন।
সহজ করে বলি, আপনি শাওমি ফোন ব্যবহার করার সময় এর ডিফল্ট অ্যাপগুলো থেকে অনেক সময় হয়তো বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করার কিংবা এই ধরনের অন্যান্য নোটিফিকেশন পেয়েছেন।
শুধু অ্যাপ নোটিফিকেশন-ই নয়, বরং অ্যাপ ইন্সটলার স্ক্রিন থেকে শুরু করে এমআইউআই এর ইউজার ইন্টারফেসের অনেক জায়গাতেই বিজ্ঞাপন চোখে পড়বে। এসব বিজ্ঞাপন দেখে আপনার বিরক্তি লাগলেও শাওমি এখান থেকে টাকা আয় করছে। আর এই কারণেই তারা অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে কম দামে আপনাকে ফোন দিতে পারছে।
মিইউআই ১০ এর সাথে শাওমি তাদের বিজ্ঞাপনের পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছে। তাই অন্যদিক থেকে শাওমি অনেক বাহবা পেলেও এই বিজ্ঞাপনের জন্য অনেক গ্রাহক কিংবা টেক রিভিউয়ারদের অসন্তোষের কবলে পড়েছে শাওমি। কাজের মাঝখানে অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন কারোরই পছন্দ না। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনগুলো অশ্লীল ও কুরুচিপূ
র্নও হয়ে থাকে। আপনিও যদি তেমনই একজন হয়ে থাকেন যে শাওমির এই বিজ্ঞাপন আর দেখতে চাননা তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনারই জন্য।
শাওমি তাদের এসব বিজ্ঞাপন (তাদের ভাষায় “রিকমেন্ডেশন”) বন্ধ করার অপশন তাদের মিইউআই’তেই রেখেছে। তবে একদম কেন্দ্রীয়ভাবে বন্ধ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। বরং আপনি আলাদা আলাদা অ্যাপ কিংবা আলাদা আলাদা সেকশনের জন্য আলাদাভাবে বিজ্ঞাপন বা রিকমেন্ডেশন বন্ধ করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে সবগুলো অপশন খুঁজে বন্ধ করার উপায় একসাথে করে এখানে দিয়ে দেয়া হলো। মিইউআই ১০ চালিত সব ডিভাইসেই এই প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে পারবেন।

কীভাবে শাওমি ফোনে বিজ্ঞাপন বন্ধ করব?

শাওমি ফোনের বিভিন্ন ফাংশনে দেখানো অ্যাড বন্ধ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
  • প্রথমেই এমএসএ অ্যাপ এর অথোরাইজেশন বাতিলঃ মিইউআই সিস্টেম এডস নামক একটি হিডেন অ্যাপ আছে যা এর ইউজার ইন্টারফেসে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। আপনি প্রথমেই Settings > Additional Settings > Authorization and Revocation অপশনে গিয়ে msa অ্যাপটির অথোরাইজেশন অফ করে দিবেন।
  • এডভারটাইজিং আইডেন্টিফায়ার বন্ধঃ Settings > Additional Settings > Privacy > User Experience Program অপশনে গিয়ে টগল বাটনটি চেপে এটি বন্ধ করে দিবেন। তাহলে এটি আর এডভারটাইজমেন্ট প্রদর্শনের অন্য আপনার ইউসেজ ডেটা সংগ্রহ করবে না।
  • ইন্সটলার বা স্ক্যানার এর এড বন্ধঃ এর জন্য আপনি গুগল প্লে বা ফোন স্টোরেজ থেকে যে কোন একটি অ্যাপ ইন্সটল করুন। ইন্টারনেট অন থাকলে দেখতে পাবেন অ্যাপটির ভাইরাস স্ক্যান করার স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। এখান থেকে উপরের দিকে থাকা গিয়ার আইকনে ক্লিক করে “রিসিভ রেকমেন্ডেশন” অপশনটি বন্ধ করে দিলে এখানে আর বিজ্ঞাপন দেখাবে না।
  • ইন্সটল করা অ্যাপ রেকমেন্ডেশন বন্ধঃ এজন্য Settings > Installed Apps এ গিয়ে উপরে থাকা থ্রি ডট মেন্যু আইকনে ক্লিক করে সেটিংস এ যান। তারপর রেকমেন্ডেশন অপশন বন্ধ করে দিন।
  • অ্যাপ লকারের বিজ্ঞাপন বন্ধঃ এজন্য Settings > App Lock এ গিয়ে গিয়ার আইকনে ট্যাপ করে সেটিংস এ প্রবেশ করুন। তারপর “Recommendations” অপশন বন্ধ করে দিন।
  • ফাইল ম্যানেজারের বিজ্ঞাপন বন্ধঃ এর জন্য আপনাকে ফাইল ম্যানেজারে ঢুকে Settings > About এ যেতে হবে এবং তারপর রেকমেন্ডেশন বন্ধ করে দিতে হবে।
  • সিকিউরিটি অ্যাপ এর বিজ্ঞাপন বন্ধঃ প্রথমেই অ্যাপ এ ঢুকে সেটিংস এ গিয়ে “Receive Recommendations” বন্ধ করে দিন। তারপর একই অ্যাপে Settings > Cleaner এবং Settings > Boost Speed অপশনে গিয়েও রেকমেন্ডেশন বন্ধ করে দিবেন।
  • মি ব্রাউজার এর বিজ্ঞাপন বন্ধঃ এই অ্যাপ এর বিজ্ঞাপনগুলো সবচেয়ে বিরক্তিকর হয়ে থাকে। এটা বন্ধ করতে অ্যাপের Settings > Privacy & Security সেকশনে গিয়ে “Personalized Services” অপশন বন্ধ করে ফেলুন।
  • ডাউনলোডার এর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতেঃ অ্যাপে ঢুকে থ্রি ডট মেন্যু তে গিয়ে “Show Recommended Content” অপশনটি একেবারে বন্ধ করে রেখে দিন।
  • থিমস অ্যাপ এর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতেঃ এজন্য থিমস অ্যাপে ঢুকে একাউন্ট অপশনে গিয়ে সেটিংস এ ঢুকুন। তারপর সেখান থেকে রেকমেন্ডেশন বন্ধ করে দিন।
  • মি মিউজিক অ্যাপ এর বিজ্ঞাপনঃ মিউজিক প্লেয়ারে ঢুকে ন্যাভিগেশন মেন্যুতে যান। তারপর Settings > Advanced Settings এ গিয়ে “Receive Recommendations“ বন্ধ করে ফেলুন।
  • মি ভিডিও অ্যাপ এর বিজ্ঞাপনঃ এজন্য Account > Settings থেকে “Online Recommendations” অপশনটি বন্ধ করে দিন। সেই সাথে “Push Notifications“  অপশনটিও বন্ধ করে রাখতে পারেন।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাজে আসবে।
আপনি যদি আরও কিছু টিপস জেনে থাকেন, কিংবা অন্য কিছু জানতে চান, তাহলে কমেন্টে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

Friday, April 19, 2019

বিটকয়েন সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য

সম্পাদকের কথাঃ এই লেখাটি পাঠিয়েছেন বাংলাটেক টোয়েন্টিফোর ডটকম এর পাঠক সাজিদ কবির। আর্টিকেলটি কিছুটা এডিট করে পাবলিশ করা হয়েছে। আপনিও চাইলে আমাদের সাইটে লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে চাইলে এখানে বিস্তারিত জানুন

বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অধিকাংশই বিটকয়েন নামটির সাথে কম বেশি পরিচিত। তবুও একটু সংক্ষেপে জানিয়ে রাখি, বিটকয়েন বিশ্বের সর্বপ্রথম ওপেন-সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা লেনদেনের জন্য কোনো ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। এটি কোনো দেশের সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত মুদ্রা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে কোন এক ব্যক্তি এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে এই মুদ্রা ও এর প্রবর্তককে ঘিরে, যা এখনও উন্মোচিত হয়নি। আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো বিটকয়েন সম্পর্কিত মজার কিছু তথ্য।

বিটকয়েন ক্রয়

অনেকে মনে করেন যে বিটকয়েন কিনতে গেলে ১ বিটকয়েনই কিনতে হবে। তবে এটি সত্য নয়। ১ বিটকয়েনের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৮৬০ ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লক্ষ টাকারও বেশি। আপনি ১ এর কম (ভগ্নাংশ পরিমাণ) বিটকয়েন কিনতে পারবেন। যেমন ০.০১ বিটকয়েন, এমনকি ০.০০১ বিটকয়েনও! মূলত আপনি চাইলে ৮ দশমিক স্থান পর্যন্তও বিটকয়েন কিনতে পারবেন

বিটকয়েনের চাহিদা

কেউ কেউ এটি মনে করেন যে, বিটকয়েনের দাম কখনোই কমেনা, বরং বাড়তেই থাকে। এটি একটি ভুল ধারণা। বিটকয়েনের বাজারদরের সাথে শেয়ার মার্কেটের তুলনা করা যেতে পারে। এটি যেকোনো সময়ই কমতে বা বাড়তে পারে।

লেনদেন ট্র‍্যাকিং

 বিটকয়েন সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এর লেনদেন ট্র্যাক করার ধারণাটি। বিটকয়েন লেনদেনকে অনেকেই সবচেয়ে গোপন লেনদেন মনে করেন। তবে সত্যিটা হল, বিটকয়েন লেনদেনের ব্যাপারটা মূলত গোপনীয় নয়, বরং পাবলিক। প্রতিটি বিটকয়েনের লেনদেনই ব্লকচেইনে এন্ট্রি হয়ে যায়, যেসব তথ্য বুদ্ধিমান ব্যবহারকারীরা সময় দিলেই ট্রেস করতে পারেন। অতএব, এটি একটি ভুল ধারণা যে, বিটকয়েন লেনদেন ট্র‍্যাকিং সম্ভব নয়।

বিটকয়েনই কি একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি?

না। বিটকয়েন একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। স্টেলার, ইথারিয়াম, লাইটকয়েন এইরকম অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে বিদ্যমান। তবে বিটকয়েনই সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি।

বিটকয়েন মাইনিং

এখন বিটকয়েনের মূল উৎস হল মাইনিং, যা বিশেষ ধরণের কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। তবে এই ধারণা সঠিক নয় যে, যেকোনো কম্পিউটারেই বিটকয়েন মাইনিং সম্ভব। যদিও বা সম্ভব হয়, তবুও তার লাভের হার সন্দেহজনক হবে। বিটকয়েন মাইনিংয়ে লাভের মুখ দেখতে হলে অনেক কম্পিউটিং পাওয়ার ও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োজন।

মোট বিটকয়েন সরবরাহ

ইন্টারনেটে আপনি অনেক ওয়েবসাইটে হয়ত এই তথ্য পেয়েছেন যে, বিটকয়েনের সরবরাহ সীমিত পরিমাণের। এই ধারণাটি সত্য। বিদ্যমান ব্যবস্থায় মোট ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন মাইন করা সম্ভব হবে। তবে ভগ্নাংশের মাধ্যমে এর লেনদেনের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি করা যাবে।

বিটকয়েন এবং আইনব্যবস্থা

বিটকয়েন কি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? অনেকেই হয়ত মনে করেন যে এটি গোপনীয় ছদ্মনামে থাকায় এটা হয়ত আইনের চোখ এড়াতে পারে, কিন্তু বিটকয়েন ব্যবহার আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মূলত অনেক দেশেই এই বিটকয়েনকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক (বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) বাংলাদেশে বিটকয়েন ও এরকম ক্রিপ্টোকারেন্সিকে “বৈধ নয়” বলে উল্লেখ করে এগুলো লেনদেন না করতে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেএএফপি এবং টেলিগ্রাফের ২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট বলছে বাংলাদেশে বিটকয়েন লেনদেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে এএফপি’কে জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।